মোঃ জুয়েল মাষ্টার, নিজস্ব প্রতিনিধি।
ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান,ভোলা ২ আসনের সাধারন মানুষ এবং নেতা-কর্মীরা। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেওয়ায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সরোয়ার আলম খান বাদী হয়ে,থানায় একটি জিডি করেন। যাহার নাম্বার -২৭৩. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দেওয়া অভিযোগটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত,মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। রোববার (৬ জুলাই ২০২৫) গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন,ভোলা ২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম। উল্লেখ্য- এর আগে ডিজিটাল প্লাট ফরমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সাবেক এমপি আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ করেন,সেলিম নামে এক ব্যক্তি। পরে এই অভিযোগটির একটি ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছরিয়ে পরে। অভিযোগটির বিষয়ে সততা জানতে চাইলে,গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর,আমার নজরে আসলে আমি মনোযোগ দিয়ে শুনি তাছাড়া সেলিম নামে যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ দিয়েছেন,তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা সদর-১ আসনের লোক। সাবেক বিএনপি’র এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি।সেলিমের সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের সাথে জমা-জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। হয়তোবা তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকতে পারে। এটা তাদের পারিবারিক ইস্যু,একটা মহল তাকে দিয়ে আমার নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা,ভিত্তিহীন,বানোয়াট সংবাদ প্রচার করায়। এতে আমাকে জড়িয়ে একটি মহল যেই ষড়যন্ত্র করছে তারা জানেনা ভোলা ২ আসনে আমার জন প্রিয়তার খবর। তাছাড়া আমার পাশে ভোলা ২ আসনের জনগন আছে। আমার জানা মতে,ওই বক্ত্যির জমি-জমা বিষয়ে ভোলা সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে। আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, হয়তোবা তিনি ভোলা ১ আসনের বিএনপির কর্মী হলেও হতে পারে, তবে ওই ব্যক্তি ভোলা ২ আসনের বাসিন্দা না। আমার এলাকার জনগন জানে, আমি হাফিজ ইব্রাহিম কি ধরনের লোক, ওই ব্যক্তিতো আমার ভোটার ও না কর্মীও না, তাহলে আমি কেন তাকে হুমকি দিতে যাবো! আমি চিন্তা করে দেখলাম, আমাকে নিয়ে এবং আমার রাজনৈতিক জন প্রিয়তা দেখে অনেকেই হিংসা করেন ,তাই তারা পরিকল্পিত ভাবে অন্ন এলাকার ইস্যু টেনে তাদেরকে বুঝিয়ে পড়িয়ে আমার নামে মিথ্যাচার করে আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ছোট করার চেষ্টা করছেন।আমি মনে করি,তারা এই যাত্রায় ও ব্যর্থ হয়েছে। আপনারা অনেকেই অবগত আছেন যে, ভোলা ২ আসনে ওয়ান ইলেভেনের সময় আামি ২ বছর জেল খেটেছি। জেল থেকে বেড় হওয়ার পর, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া সব কয়টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। আমি ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছি, আমি এলাকায় আসার পরে, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে দেয়নি তখনকার সময়ের নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা। বর্তমানে নুরুল হুদা সেই পাপের বোঝা ভোগ করতেছে। আমি অতীতে সব সময় আমার জনগণের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব, ইনশাল্লাহ। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক ও একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে যা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের এই মিথ্যা ষড়যন্ত্র সফল করতে দিবেনা ভোলা ২ আসনের জনগণ।