মোঃ জুয়েল মাষ্টার, নিজস্ব প্রতিনিধি।
ভোলা জেলা বোরহানউদ্দিন উপজেলাধীন ৯নং বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলাধীন ০৯ বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদে নিবন্ধিত কার্ড ধারী জেলেদের মাঝে ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
ভোলা জেলা বোরহানউদ্দিন উপজেলাধীন ০৯ নং বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদে নিবন্ধিত কার্ডধারী জেলেদের মাঝে বুধবার সকাল ০৯ টা থেকে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরাদ্দ অনুযায়ী, এপ্রিল ও মে—এই দুই মাসের জন্য প্রতি নিবন্ধিত কার্ড ধারি জেলেদের জন্য ৮০কেজি করে চাউল বরাদ্দ হয় এবং নিবন্ধীত কার্ড ধারি জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। ০৯ নং বড় মানিকা ইউনিয়নে মোট নিবন্ধিত জেলেদের সংখ্যা ৩ হাজার ৭১১ জন, কিন্তু ২ হাজার ১০০ জন নিবন্ধিত জেলের জন্য চাল বরাদ্দ হয়েছে বলে জানা যায়।
অভিযোগ রয়েছে যে,নিবন্ধিত ৩ হাজার ৭১১ জন জেলের কার্ডের বাহিরেও একাধিক জেলে কার্ড ০৯ নং বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা/মেম্বারা অনৈতিক ভাবে অর্থের বিনিময়ে জেলে কার্ড করে দিয়েছে বলে জানা যায়। এই বিষয়ে মোঃ মেহেদী হাসান (উপজেলা সহকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও কমিশনার ভূমি)র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন তবে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে,এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং মেম্বাররা যদি এই অপরাধের সাথে জড়িত থাকে তাহলে,অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । এই বিষয়ে ৯ নং বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জসিম হায়দারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে,ভোলা জেলা প্রশাসক আজাদ জাহানের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন,যদি এই অপরাধ প্রমানিত হয়,তাহলে তিনি এই অপরাধের সাথে যারা জড়িত আছেন,তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মেহেদী হাসান (উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট)০৯ নং বড় মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন হায়দার, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার ননী গোপাল
, ০৯ নং বড় মানিকা ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কালিমুল্লাহ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যবৃন্দ।